Saturday, January 29, 2022

বাড়িতে পোষা কুকুর, বিড়াল আছে? জানেন নিজের কী ক্ষতি করছেন?



রোগ ধরা পড়ছিল না কিছুতেই। শুধু প্রচণ্ড জ্বর। শেষে নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন শমীকবাবু। বহু ডাক্তার দেখিয়েও অসুখের কারণ অনুসন্ধান করা যাচ্ছিল না। শেষে একদিন রোগীর বাড়ির সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ করে জানা গেল, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে আর পোষ্য টিয়া নিয়ে সংসার ৩৯ বছরের শমীকবাবুর। তখনই মনে খটকা লাগে ডাক্তারবাবুর। অসুখটা সিটাকোসিস নয় তো? পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ঠিক সেটাই ধরা পড়ল।

শুধু পোষা কুকুর, বিড়াল, মুরগি, ছাগল, গরু কেন! খরগোশ, ঘোড়া এমনকী টিয়া, ময়নার মতো রকমারি পাখি কিংবা অ্যাকোরারিয়ামে থাকা রংবেরঙের মাছের জন্য জটিল অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন মনিব ও তাঁর পরিবার।

বাড়ির সদস্যদের মনের অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। আবেগের অংশীদার হয়ে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গৃহপালিত পশু-পাখি বাড়ির একজন সদস্য হয়ে ওঠে। আর অনেকেই পোষ্যর সঙ্গে মেশার সময় প্রাথমিক সাবধানতাও অবলম্বন করতে চান না। খানিকটা সচেতনতার অভাবে এই সব নিরীহ জীব থেকে কত বড় রোগ সংক্রমিত হতে পারে তা ভুলে যান। কেউ পোষ্যের সামান্য কামড়ানো বা আঁচড়ানোকে তোয়াক্কা করেন না। ফলে অজান্তে মারাত্মক রোগের কবলে পড়তে হয় প্রভুকে।

শুধু পোষা কুকুর, বিড়াল, মুরগি, ছাগল, গরু কেন! খরগোশ, ঘোড়া এমনকী টিয়া, ময়নার মতো রকমারি পাখি কিংবা অ্যাকোরারিয়ামে থাকা রংবেরঙের মাছের জন্য জটিল অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন মনিব ও তাঁর পরিবার।

বাড়ির সদস্যদের মনের অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। আবেগের অংশীদার হয়ে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে গৃহপালিত পশু-পাখি বাড়ির একজন সদস্য হয়ে ওঠে। আর অনেকেই পোষ্যর সঙ্গে মেশার সময় প্রাথমিক সাবধানতাও অবলম্বন করতে চান না। খানিকটা সচেতনতার অভাবে এই সব নিরীহ জীব থেকে কত বড় রোগ সংক্রমিত হতে পারে তা ভুলে যান। কেউ পোষ্যের সামান্য কামড়ানো বা আঁচড়ানোকে তোয়াক্কা করেন না। ফলে অজান্তে মারাত্মক রোগের কবলে পড়তে হয় প্রভুকে।

প্রোটোজোয়া বাহিত রোগ

১. জিয়ারডিয়া ইনফেকশন- গবাদি পশুর মল, মূত্র থেকে জিয়ারডিয়া প্রোটোজোয়া রোগ ছড়ায়। এই ইনফেকশনের ফলে পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, ডাইরিয়া ও কলেরা হতে পারে।

২. টোক্সোপ্লাসমোসিস- বিড়ালের মল, মূত্র থেকে হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এবং বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের এই রোগ হলে বিপদ।

৩. ফাংগাস বাহিত রোগ- গৃহপালিত পশুর থেকে ফাংগাস বাহিত রোগ দাদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ত্বকে গোলাকৃতি ইনফেকশন হয়।

৪. পরজীবী বাহিত রোগ- প্রধানত ইকাইনোকক্কাস গ্র‌্যানুলস পরজীবীর কারণে হয় যা কুকুরের ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকে। এই পরজীবীর দ্বারা সংক্রামিত কোনও কুকুরের মলের সংস্পর্শে এলে মানুষের শরীরে এই রোগটি হয়। এর ফলে লিভার ও অন্য অঙ্গে সিস্ট হতে পারে।

৫. ভাইরাস বাহিত রোগ- জলাতঙ্ক-কুকুর কামড়ালে বা আঁচড়ালে জলাতঙ্ক হয়। ক্ষত কতটা তার উপর ভ্যাকসিন ও ইমুনোগ্লোবিউলিনের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসা না করলে মৃত্যু হতে পারে।

সাবধান

  • গৃহপালিতর থাকার জায়গা মল, মূত্র ভালভাবে পরিষ্কার করুন। গৃহপালিত কামড়ে বা আঁচড়ে দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • পরিচর্যার সময় গ্লাভস, বুট-জুতো, অ্যাপ্রন, চশমা ব্যবহার করুন।
  • গৃহপালিতকে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। অসুস্থ হলে পশু চিকিৎসককে দেখান।

শেয়ার করুন

0 comments: