Showing posts with label Urban Biodiversity. Show all posts
Showing posts with label Urban Biodiversity. Show all posts

Sunday, December 11, 2022

Monday, January 31, 2022

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নির্মিত হলো থ্রিডি এনিমেটেড ফিল্ম ‘টুমরো’

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নির্মিত হলো থ্রিডি এনিমেটেড ফিল্ম ‘টুমরো’


 

জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নির্মিত হলো থ্রিডি এনিমেটেড ফিল্ম ‘টুমরো’

ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবী। ছোট্ট রাতুল তা জানে না। রাতুলকে এক দূত এসে সে খবর জানায়। রাতুলকে দেখানো হয়, কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বাতাস। তাতেই গরম হচ্ছে পৃথিবীর পরিবেশ। উত্তর মেরুতে গলছে বরফ। ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর নিম্নাঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যে দেশগুলো, তাদের প্রথমেই আছে বাংলাদেশের নাম। রাতুল অবাক হয়! ওর মনে প্রশ্ন জাগে। এর সমাধান কী! 

এমনই গল্প নিয়ে থ্রিডি অ্যানিমেটেড ছবি ‘টুমরো’। জলবায়ু নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ২৫ মিনিটের এই অ্যানিমেশন ছবিটি বানাল দীপ্ত টিভি। নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে সিনেমাটি।

এই থ্রিডি অ্যানিমেটেড সিনেমা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দীপ্ত টিভিতে সংবাদ সংম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানেই চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২৩ নভেম্বর ‘টুমরো’ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দীপ্ত টিভিতে ফিল্মটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে এবং পরদিন ৩০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে পুনঃ প্রচারিত হবে।
২৫ মিনিট দীর্ঘ এই অ্যানিমেটেড ফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসান। রচনা করেছেন নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান।

সিনেমায় দেখানো হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাবে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ। ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ংকর। সেই ভয়ংকর ভবিষ্যতকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। যে রাতুল এত দিন প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেছে, সেই রাতুলই এবার ভার নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলানোর। তার সঙ্গী হয় পৃথিবীজুড়ে থাকা হাজারো শিশু-কিশোর। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জনমত। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর করারোপসহ আরও এমন কিছু করে রাতুল ও তার সঙ্গীরা যাতে পৃথিবীর এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় সম্ভব হয়ে ওঠে।

সংবাদ সংম্মেলনে আরও জানানো হয়, অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘টুমরো’র মূল উদ্দেশ্য শিশু-কিশোরদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটকে তুলে ধরা। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর করারোপসহ নবায়নযোগ্য শক্তিতে অধিকতর বিনিয়োগ করে একটি সমাধান করতে পারে, এই ফিল্মটিতে তাই দেখানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ফিল্মটির নির্মাতা-কলাকুশলীরা ছাড়াও দীপ্ত টিভির পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী, হেড অব নিউজ ইব্রাহীম আজাদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে ঢাকা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে ঢাকা




শীত আসার আগ দিয়েই দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে রাজধানী ঢাকার বাতাস। ভারতের ‘গ্যাস চেম্বার’ আখ্যা পাওয়া দিল্লির বাতাসের চেয়েও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে ঢাকা। টানা তিনদিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়াল। প্রতিষ্ঠানটির  বায়ুমান সূচকে (একিউআই) সোমবার থেকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর হচ্ছে ঢাকা। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি শহরের বাতাস কতটুকু বিশুদ্ধ বা দূষিত সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। এ ছাড়া এ ধরনের বাতাসে কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তাও জানায়। একিউআই সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোর পাওয়ার মানে হলো বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য।


এয়ার ভিজ্যুয়াল অনুসারে, মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটায় ঢাকার স্কোর ছিল ২২৭, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর।

 

সকাল আটটার দিকে এই স্কোর ছিল ২৫২।  বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহরগুলো হচ্ছে যথাক্রমে উলানবাটার, মুম্বই, লাহোর, দিল্লি, কিয়েভ, সারায়েভো, কাঠমাণ্ডু, কলকাতা ও চেংদু।

বায়ুমান যাচাই বিষয়ক অপর এক প্রতিষ্ঠান এয়ারনাউ অনুসারে, কোনো শহরের একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০’র মধ্যে থাকলে ওই শহরের বাসিন্দারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভোগার ঝুঁকিতে থাকেন। শিশু, বৃদ্ধ সহ শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষদের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া সকল বাসিন্দাদেরই বাইরে যথাসম্ভব কম সময় থাকা উচিত।

 

পরিবেশ দূষনের নানা দিক

পরিবেশ দূষনের নানা দিক




পরিবেশ সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সভ্যতার ক্রমবিকাশ থেকেই মানুষ গড়ে তুলেছে তার পরিবেশ । পরিবেশকে রুদ্ধ করে পরিবেশকে জয় করার চিন্তা ভাবনার যেন শেষ নেই। মানুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে যেভাবে পরিবেশের উপর আঘাত হানছে তাতে পরিবেশ তার নিজস্ব আচরণে গোটা বিশ্বকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারছে। আমরা নিজেরাই এর জন্য দায়ী নিজেরাই নিজেদের পরিবেশকে ধ্বংস করে মহাবিপদ ডেকে নিয়ে আসছি। আর তার জন্য উন্নত বিশ্ব সবচেয়ে দায়ী। অপরিকল্পিত নগরায়ন শিল্পায়ন গড়ে তোলায় দূষিত হচ্ছে সুস্থ পরিবেশ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জলে ও স্থলে মহাশূন্যে আধিপত্য বিস্তার। কিন্তু মানুষের এ বিজয় মানুষকে পরাজয়ের মধ্যে ফেলে দিল। আজ আমরা এক ভয়ংকর সংকটের মুখোমুখি। কোন বিশেষ জাতি কিংবা কোন দেশের একার নয়। এই সংকট আজ বিশ্ব জুড়ে পৃথিবীর পরিবেশ নানাভাবে দূষিত হচ্ছে দিনের পর দিন। এ দূষণ পৃথিবীর পরিবেশকে নিয়ে যাচ্ছে ভয়ংকর ভবিষ্যতের দিকে। আজ জলে বিষ বাতাসে আতঙ্ক, মাটিতে মহাত্রাস।

মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে সৃষ্ট ক্ষতিকর পদার্থ ও তা নির্গমনের কারণে স্বাভাবিক পরিবেশের উপর প্রভাব পড়লে তাকে দূষণ বলে। পরিবেশ দূষণ বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। বায়ু দূষণ, পানিদূষণ, শব্দ দূষণ এরমধ্যে অন্যতম। আমরা এত দিন দূষণ শব্দটি শুনে এসেছি, কিন্তু এর মধ্যে আছে পরিবেশের হাহাকার। পরিবেশ যত দূষণ হবে ঠিক ততই প্রতিশোধ নেবে মানব তথা সমগ্র জীবকুলের উপর। এখন আমাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে পরেছে আমরা যদি সঠিক পথে না চলি তা হলে ভবিষ্যতের যে কুফল পরবে তার জন্য দায়ি হবে সুধুই মানুষ, আর কুফল ভোগ সমগ্র জীবকুল।

বিগত বছরে ৭৬ টির বেশি প্রজাতির প্রাণী এবং কয়েকশ প্রজাতির গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমাদের অথনৈতিক উন্নতি হয়েছে।এর পরিনামে বাতাসে প্রতিবছর ২০ কোটি মেট্রিক টন কার্বন মনোক্সাইড সঞ্চিত হচ্ছে। বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিবছর ৬০ হেক্ট্রর জমি মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রতি মিনিটে বালুকাকীর্ণ হয়ে পড়ছে ৪ হেক্ট্রর উর্বর ভূমি। এখনও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। পাহাড় কাটা, ফসলি জমি ধ্বংস বনাঞ্চল উজাড় করে পরিবেশের উপর মারাত্মক আঘাত হানছে। একটি দেশে ২৫% বনভূমি থাকার কথা। সেখানে বাংলাদেশে বনভূমি রয়েছে মাত্র ১৬%।

বাংলাদেশে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা। প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, চলছে নির্বিচারে পাহাড় কাটাঁ, ফসলি জমি ধ্বংস। বনাঞ্চল উজাড় করে পরিবেশকে প্রতিনিয়ত দূষিত করে চলেছে। বাংলাদেশে যেভাবে নদী দূষণ শুরু হয়েছে তাতে অচিরেই নানা দুর্যোগের মুখোমুখি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন। নদীর পানি ব্যবহার অনুপযোগী। ভূগর্ভস্থ পানির উপর অতি নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে সারা দেশে সুমিষ্ট জলের অভাব দেখা দিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারে ভূগর্ভস্থ পানির লেভেল ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘরবাড়ি বহুতল ভবন। অন্যদিকে মাটি কাটার কবলে ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়েও বাড়ছে দূষণের মাত্র। দেশের নদী দখলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের হাত থাকায় ফলে দূষণ ও দখল নিয়নন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এমন প্রতিবেদন পত্রপত্রিকায় বহুবার প্রকাশিত হয়েছে । দেশের অধিকাংশ তরল বর্জ্যে উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে নেই বর্জ্যে পরিশোধন (ইটিপি)। ফলে তরল বর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়ছে নদীর পানি । পরিবেশ দূষণের মাত্রার পরিণতির কথা বিবেচনা করে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের স্বার্থে পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখা দরকার। এ দূষণ রোধ করার জন্য জণগনকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। সকলকে পরিবেশ দূষণ রোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

এসব দূষণ এর সবগুলো সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই কম জানি –

  • বায়ু দূষণ
  • পানি দূষণ
  • মৃত্তিকা দূষণ
  • আবর্জনা দূষণ
  • তেজষ্ক্রিয় দূষণ
  • শব্দ দূষণ
  • আলোক দূষণ
  • দৃশ্য দূষণ
  • তাপ দূষণ

চাষের জমি ভরাট হয়ে নগরায়ন হচ্ছে, উন্মুক্ত সমুদ্র সৈকত বন্দী হচ্ছে চিংড়ী চাষের কারণে, পাহাড় কেটে গড়ে উঠছে বস্তি, অল্প যা কিছু কল-কারখানা আছে তার অশোধিত বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন নদী নালা। জীবন সংগ্রামের এই অস্থির কষাঘাতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাপে প্রকৃতি হচ্ছে নিষ্পেষিত, শোষিত ও দলিত। ক্ষুদ্র আয়তনের আমাদের এই দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতি তথা পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচালনা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বাঁচা মরার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কযুক্ত। বাস ট্রাক , লরি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া যত্রতত্র মুড়ির টিন, বাড়ি ঘরের ময়লা স্তূপের কারণে নদীপথে মান্দাতার আমলে লঞ্চ ষ্টীমার চলাচলের কারণে, স্যালো নৌকার আবির্ভাবের জন্য যেখানে সেখানে পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য ফেলে পরিবেশ দূষণ চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করেছে। বিশ্বের সর্বাধিক বায়ু দূষিত ১৫টি শহরের ১৩টি হলো এশিয়ায়। এই দূষণ এশিয়ায় বছরে ১০ লাখ লোকের মৃত্যুর কারণ।। আমরা সর্বদাই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবদ্ধির জন্য নিবেদিত। কিন্তু উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু পরিবেশকে পাশ কাটিয়ে পরিবেশের উপর একছত্রভাবে জুলুম করে পক্ষান্তরে উন্নয়নের চাকাটির চলার পথই রুদ্ধ করছি। আজ তাই এহেন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সময় এসেছে। । শহর নগর এলাকা নির্মাণ বা সম্প্রসারণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ ইত্যাদি কারণে এর ফলে নালা, ড্রেন ইত্যাদি মাটি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং জমাট পানি উপচে পড়ে বিভিন্ন সমস্যার কারণ ঘটাচ্ছে। তাছাড়া পাহাড় কাটার কারণে স্থানে স্থানে ধস নামছে। সে পাহাড়গুলিসহ আশ পাশের পাহাড়গুলি ভংগুর হয়ে যাওয়ায় এদের স্থায়িত্ব হুমকির সম্মুখীন। পাশাপাশি নৈসর্গিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে, তা বন্য প্রাণীর অস্তিত্ব লোপ পাচ্ছে এবং জৈব বৈচিত্র বিলুপ্তির শেষ পর্যায়ে উপনীত হচ্ছে পানি চলাচল তথা ঢালুতে পানি নামায় যে প্রাকৃতিক নালাগুলি ছিল, সেগুলির অধিকাংশই ভরাট হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বিশেষতঃ বাস ট্রাক থেকে নিঃসৃত কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণ ঘটায়। তাই ত্রুটিমুক্ত যানবাহনের মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ ও ত্রুটিপূর্ণ যানগুলো বাতিল করার মাধ্যমে বায়ু দূষণ কমানো সম্ভব। যানজট কমানোর জন্য গণ পরিবহনের আবশ্যকতা রয়েছে। ট্রাফিক জ্যাম এবং সড়কের উপর যত্রতত্র যানবাহনের কারণে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পায়। জনস্বাস্থ্যের পর বায়ু দূষণের সরাসরি নেতিবাচক প্রভাবের সৃষ্টির ব্যাপারটি অনস্বীকার্য। শব্দ দূষণ শব্দ দূষণের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবন দুঃসহ হয়ে পরেছে। বিভিন্ন পরিবহনের অনবরত বাজানো হর্ণ মানুষের শ্রবণেন্দ্রীয়কে করে তুলেছে অতিষ্ঠ। একটি সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক শ্রবণ ক্ষমতা ৪৫ ডেসিবল গাড়ির হর্ণের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে, হাইড্রলিক হর্ণ, ১৯৯৭ সালে তা আমদানি এবং বিক্রি বেআইনী ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। চিকিৎসকদের মতে উচ্চ গ্রামের প্রতিদিন ৪০ সেকেন্ড করে শব্দ গ্রহণ করবে কিছু দিনের মধ্যেই শ্রবণ যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উচ্চ শব্দ মানবদেহের জন্য বিশেষ ক্ষতির কারণ। পানি দূষণে আমরা পানিকে দূষিত করে তুলছি প্রতিনিয়ত।

শিল্পজাত বর্জ্য গার্হস্থ্য বর্জ্য ইত্যাদি নদীর পানিকে ক্রমশ দূষিত করে তুলছে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে শিল্প কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নদীর বর্জ্য পদার্থ পরিত্যাগস্থল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সমুদ্র দূষিত হয়ে পড়ছে লোকালয়ে আবর্জনা কীটনাশক রাসায়নিক পদার্থ, তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ, সমুদ্রগামী জাহাজ, সামুদ্রিক তেলখনির তেল নিঃসরনের কারণে সমস্ত বর্জ্য সমুদ্রে মাছের ডিম পাড়া সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ভিদের দৃপ্তি ও বিকাশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে বিবিধ বর্জ্যের কারণে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা হ্রা্‌স পাওয়ায় সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। বর্জ পরিবেশ দূষণে ক্ষতিকর পরিবেশ সংর্‌ক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর আওতায় ১৯৯৭ সালে সরকার ঘোষিত কারকারখানার নির্গত ময়লা পানি ও বর্জ্য নির্গমনের গুণগতমান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশেগত ছাড়পত্র কোন শিল্প প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়ার একটি অংশ একথা উল্লেখ করে সুপারিশ করা হয়েছে শিল্প কারখানার কঠিন তরল ও বায়বীয় বর্জ্য ফেলার যথাযোগ্য স্থান নির্ধারণ এবং এগুলো কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য পরিবেশ আদালত স্থাপন, পলিথিনব্যাগ পচনশীল না হওয়ায় সহজে বিনষ্ট হয় না। পয়ঃপ্রণালীর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পরিবেশের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করে। কঠিন বর্জ্য পদার্থ যেমন – বোতল, টিনের ক্যান, কাঁচ বা কাগজের সামগ্রী, রিসাইক্লিং এবং আবর্জনাকে সারের বর্জ্যকে রিসাইকল্‌ড কাগজে, বর্জ্য প্লাষ্টিককে বার্নিশের কাজে ব্যবহৃত নতুন রঞ্জক ও ডাবের খোসাকে জ্বালানিতে পরিণত করার প্রযুক্তিকে উৎসাহিত করা। মেডিকেল বর্জ্য ফেলার যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়া কো্‌ন এলাকায় হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নির্মাণের স্থান নির্দিষ্ট করতে না দেওয়া। উপযুক্ত পরিবহণ ব্যবস্থা আবর্জনা ফেলার নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি পর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন, মল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিবেশ সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার চালূ করা. অপর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ও পয়ঃনালা ব্যবস্থা আবর্জনা সংগ্রহ ব্যবস্থায় জটিলতা রয়েছে। আমাদেরকে এখন উন্নয়ন পরিবেশের সংঘাতের আবর্তে হোচট খেয়ে চলতে হচ্ছে। গোটাবিশ্ব আজ পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিঘ্ন। কারণ সুন্দর, দূষণমুক্ত পরিবেশ বিশ্বে প্রতিটি মানুষেরই কাম্য দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়ন পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলছে তাতে করে অদূর ভবিষতেই পৃথিবী মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিধিবিধান এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ দ্বারা উন্নত দেশগুলি তাদের পরিবেশ রক্ষা করছে। এদের মতো চলুন আমরাও চেষ্টা করি। একটু সচেতন হলে পরিবশটা রক্ষা করা খুব্‌ সহজ কাজ। বস্তুত বিগত কয়েক বছর দেশে পরিবেশগত সমস্যা যেমন প্রকট হয়েছে সাথে সাথে পরিবেশ বিষয়ে মানুষের আগ্রহও সচেতনতাও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়ন কর্মী এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে পরিবেশের বিভিন্ন বিষয় বর্তমানে ব্যাপক গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হচ্ছে ।

আলোক দূষণ

আলোক দূষণ

 




আলো ভালো ও শুভ্রতার প্রতীক এবং অন্ধকার কালো ও ভয়ের প্রতীক। এ ভাব নিয়েই মূলত বাংলা সাহিত্যে আলোর মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব বর্ণনা করে অনেক কবিতা, গান, নিবন্ধ ইত্যাদি রচনা করা হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে আমাদের আলোর পাশাপাশি সমানতালে অন্ধকারের মাহাত্ম্য ও বর্ণনা করা‌ প্রয়োজন। এ কথা বলছি এ কারণে যে, এখন দূষণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র বা শ্রেণি হিসেবে আলোক দূষণ (Light Pollution) নামক শব্দটি পৃথিবীর সকল অভিধানে যুক্ত হয়ে গেছে।

আলো যে আশীর্বাদ তাতে সন্দেহ নেই, তবে বর্তমানে আলোক দূষণ যে অভিশাপ হিসেবে হাজির হয়েছে তা অনেকেই মেনে নিচ্ছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের দেশে জনসাধারণের মধ্যে পরিবেশ দূষণ তথা পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন প্রকার দূষণের সঙ্গে পরিচিত থাকলেও আলোক দূষণের সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। অনেকেই আলোক দূষণকে কোনো প্রকার দূষণই মনে করেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যের ওপর আলোক দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করতে পারি না। বিষয়টি নিয়ে আরও উদ্বেগের কারণ হলো আলোক দূষণ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সচেতনতা নেই।

আলোক দূষণ যা ইংরেজিতে সাধারণত লাইট পলিউশন (Light Pollution) বা ফটো পলিউশন (Photo Pollution) নামে পরিচিত।‌ আন্তর্জাতিক রাতের আকাশ বিষয়ক সমিতির মতানুসারে, উষ্ণ আকাশ, মাত্রাতিরিক্ত আলো, আলোর অনুপ্রবেশ, বিশৃঙ্খল আলো, রাতের বেলায় অপ্রতুল দৃশ্যমানতা এবং শক্তির অপচয়সহ যেকোনো ধরনের কৃত্রিম আলোর ক্ষতিকর প্রভাবকে আলোক দূষণ বলে। তবে সাধারণত অন্ধকারের সাধারণ ধর্মকে বিনষ্ট করে পরিকল্পনাহীন ও কৃত্রিম আলোর অবৈজ্ঞানিক ব্যবহারকে আমরা আলোক দূষণ নামে অভিহিত করতে পারি।

প্লেটো বলেছিলেন, আঁধারের ভয় পাওয়া শিশুটিকে আমরা সহজেই ক্ষমা করতে পারি। কিন্তু জীবনের ট্রাজেডি তখনই শুরু হয় যখন কেউ আলোকে ভয় পায়। আজকে আমরা এমনই একটা সময়ে অবস্থান করছি যখন জীবনের ট্রাজেডি শুরু হয়ে গেছে আর আমরা আলোকে ভয় পাচ্ছি। আলো জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও অন্ধকার কেউ আমাদের সমান প্রয়োজন। এই কারণেই হয়তো সৃষ্টিকর্তা আলো এবং আঁধারের একটি অপূর্ব সমন্বয় সাধন করেছেন। কিন্তু সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ আজ আলোক প্রযুক্তির অতি ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অবৈজ্ঞানিক ব্যবহার করে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য কে ধ্বংসাত্মক করে তুলছে।

আলোক দূষণ সম্পূর্ণরূপে কৃত্রিমভাবে মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হওয়ায় এর সাথে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কিছু আচার-ব্যবহারের সংযুক্তি রয়েছে। শহরে বড় ভবনে বিজ্ঞাপন প্রচারে ব্যবহৃত বৃহৎ আকৃতির চোখ ধাঁধানো এলইডি মনিটর, আলোকিত বিলবোর্ড, রাস্তায় অপ্রয়োজনীয় স্ট্রিট লাইট, আলোকসজ্জা, খেলার মাঠের তীব্র শক্তির লাইট, বাসা বাড়ির জানালা থেকে নির্গত আলো, গাড়ির হেডলাইট, অফিস ও কলকারখানায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলোর ব্যবহার এবং সর্বোপরি দৃষ্টি বিজ্ঞানের আলোকে আলোর নকশা না করা ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণত আলোক দূষণ ঘটে থাকে।

আলোক দূষণের কারণে আমরা রাতের আকাশের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছি। শহুরে মানুষ কবে রাতের আকাশে ছায়াপথে নক্ষত্রের পতন কিংবা উল্কাবৃষ্টি দেখেছে তা কি মনে করতে পারে। রাতের বেলা খোলা আকাশের নিচে জোসনার খেলা আর জোনাকীর লুটোপুটি কখন যেন ভুলতে বসেছি। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় এবং মানব মনের ও মননের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়। প্রাণিজগতের অন্যান্য অনেক প্রজাতি আলোক দূষণের কারণে আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। বিশেষ করে নিশাচর বন্যপ্রাণী এবং অনেক কীটপতঙ্গের স্বাভাবিক দৈহিক কার্যকলাপ ও আচরণ আলোক দূষণ দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হয়।

এ সকল প্রাণীর প্রজনন, পুষ্টি এবং আত্মরক্ষার কৌশল পুরোপুরিভাবে আলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পেচা, বাদুড়, ইঁদুর, সাপ, সামুদ্রিক কাছিম, পরিযায়ী পাখি ইত্যাদি প্রাণী প্রজাতিগুলো আলোক দূষণ ধারা প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাতে আলোক দূষণের কারণে মানুষের ঘুমের মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত ঘটে যা অনিদ্রা সৃষ্টি করতে পারে। এই কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়াসহ নানা রকম অসুখ বিসুখে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

বর্তমানে পৃথিবীতে আলোক দূষণ নিয়ন্ত্রণে অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে। বেশ কয়েকটি দেশেও সরকারিভাবে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। আমেরিকাতে আলোক দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮৮ সালে গঠন করা হয় ইন্টারন্যাশনাল ডার্ক স্কাই অ্যাসোসিয়েশন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো গঠন করেছে সেভ ডে নাইট ইন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অস্ট্রেলিয়ায় আলোর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে সমস্ত পরিচিত রুট ব্যবহার করে পরিযায়ী পাখিরা চলাচল করে সেখানে রাতের বেলায় তাদের চলাচল নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার উদ্দেশ্যে আলোর ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ অনেকগুলো দেশে সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়া নির্বিঘ্ন করতে এবং ডিম থেকে সদ্য বের হওয়া কাছিমের বাচ্চার সমুদ্র অভিমুখে চলাচল নিশ্চিত করতে সৈকতে অবাঞ্চিত ও অনিয়ন্ত্রিত আলোর ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সামাজিক অর্থনৈতিকসহ সকল প্রকারের কর্মকাণ্ড কোভিড-১৯ জনিত সৃষ্ট মহামারির কারণে সীমিত হয়ে পড়ায় অন্যান্য দূষণের ন্যায় আলোক দূষণের উপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে সমগ্র বিশ্ব এ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছে। আলোক দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অনেক ইতিবাচক খবর বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় আমরা দেখেছি। নিশাচর বন্যপ্রাণী এখন স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির কোলে। সামুদ্রিক কাছিম নির্বিঘ্নে ডিম দিয়ে ফিরে যায় সমুদ্রে। কীটপতঙ্গের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে এসেছে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন। তাই সুস্থ পরিবেশ রক্ষায়, সংরক্ষণে ও উন্নয়নে অন্যান্য দূষণের পাশাপাশি আলোক দূষণ নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়।